করোনার মাস্ক আইসিটি … কথাটি শুনতে হাস্যকর হলেও সত্য বটে। এই তো কিছুদিন আগে শুরু হল করোনা ।তাই বন্ধ ছিল অফিস -আদালত, স্কুল – কলেজসহ প্রায় সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
তবে, আমরা মানুষ নিজেদের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়েছে। আসলে আইসিটি কে যে আমরা এতোভাবে ব্যবহার করতে পারি তা ভাবতেও পারতাম না। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, আগামী তিন থেকে চার বছরের তথ্য প্রযুক্তির যে অগ্রগতি হত তা 2020 সালে সম্পন্ন হয়েছে।
ঘরে বসে ব্যবসা করা, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা,
অনলাইনে অফিস পরিচালনা করাসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ যে ঘরে বসেই আমরা শুধুমাত্র আইসিটি ব্যবহার করেই করতে পারি তা অনুভব করতে পেরেছি ।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা। পূর্বের মহামারীগুলোর ভ্যাকসিন আবিষ্কার হতে10 থেকে 20 বছর সময় লেগেছি । অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সবকিছু ঠিক থাকলে 2021 সালের মার্চ মাস নাগাদ ভ্যাকসিন হাতে পাব।আর তা সম্ভব হয়েছে একমাত্র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে।তাছারাও করোনাভাইরাসের মধ্যে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় জরুরি সেবা সহজ করতে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু হয়েছে ।বাংলাদেশে ইউরোপের মতো কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ চালুই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মেডট্রনিকের কারিগরি সহযোগিতায় দেশে ভেন্টিলেটর মেশিন উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। করোনাসংক্রান্ত নীতি-কৌশল গ্রহণে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্রাউডসোর্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ডিজিটাইলেজেশনের পথে বর্তমান সরকারের অগ্রগতির ফলেই এটি সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক।1 তিনি বলেছেন, করোনাকালে দেশের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, সংযোগ, বিনোদন ও নিত্যপণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রযুক্তিকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। সুতরাং বলা যায় মাস্ক যেমন করোনার রোধ করে ঠিক তেমনি আইসিটি আমাদের করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় যথেষ্ট সাহায্য করেছে।